দেশ এখনো ঝুঁকিমুক্ত হয়নি কিন্তু ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি তিনি সুদখোর হিসেবেও কেউ কেউ ফতওয়া আরোপ করছেন। কেউবা ইসলামিক কোনো ব্যক্তিকে দেওয়ার দাবি করছেন।
অথচ এসব ফতওয়াবাজীর সময় এখন নয়। ইসলাম প্রতিষ্ঠার সময়ও এখন নয়। এখন দেশের অস্তিত্ব রক্ষার সময়। দেশ স্বাধীন করে যদি টিকিয়ে রাখতে না পারেন তাহলে তো ফতওয়ার দরজাও বন্ধ হয়ে যাবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ভাইয়েরা একেকজন একেকটা দেশ চালাবার যোগ্যতা রাখে। তারা আমাদের মতো শুধু ঘরে বসে সমালোচনা করেনি, মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। অতএব, এদেশের প্রতি তাদের থেকে আমাদের বেশি ভালোবাসা ও আবেগ থাকা উচিত নয়।
আমি মনে করি, এই প্রজন্মের বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধারা এই ক্রান্তিকালে ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা দিয়ে একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের বর্তমান যে নাজুক পরিস্থিতি, চতুর্দিক থেকে শকুনরা থাবা মারার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীর গতিবিধিও সন্দেহজনক। প্রতিবেশী দেশ ভারতের থাবা তো আছেই। এই সকল কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ড. ইউনুসের বিকল্প বাংলাদেশে আর কেউ নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সর্বস্তরে তাঁর যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা আমাদের জন্য অনেক বড় শক্তি। খুনি হাসিনা দেশটাকে যেভাবে ফোকলা করে দিয়ে গেছে, অর্থনীিতি যেভাবে ভেঙে পড়েছে, এই মূহূর্তে আন্তর্জাতিক সর্বস্তরের সমর্থন ও সহযোগিতা আমাদের অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন। আর আন্তর্জাতিক বিশ্বের সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বর্তমানে বাংলাদেশের একজন ব্যক্তিই, তিনি হলেন ড. ইউনুস। এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।
তাছাড়া এদেশে রাজনীতির মাঠে আসা ও মন্ত্রিত্ব নিয়ে তাঁর কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। তিনি এসবে কখনো জড়াতে চাননি। এটা একটা বড় বিষয় যা এই চেয়ারে বসার পূর্ব শর্ত।
আরো অনেক বিষয় জড়িত আছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় অন্তরবর্তীকালীন বিপ্লবী সরকার গঠনে ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক দক্ষতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন।
--শায়খ আসলাম হোসাইন