ইসলামের দৃষ্টিতে অশ্লীলতা বা পর্নোগ্রাফি আসক্তি এবং এ থেকে মুক্তির উপায়

ইসলামের দৃষ্টিতে অশ্লীলতা বা পর্নোগ্রাফি আসক্তি এবং এ থেকে মুক্তির উপায়

ইসলামে এমন একটি বিষয়ও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যা ব্যক্তি, সমাজ বা জাতির জন্য ক্ষতিকর ও ভয়াবহ৷ কেননা এই পৃথিবী বুকে একমাত্র ইসলাম নিয়ে এসেছে প্রকৃত সভ্যতার সোপান ও শান্তির বার্তা। সুতরাং অশ্লীলতা বা পর্নোগ্রাফি আসক্তি সম্পর্কে কঠোর ভাবে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু শয়তানের প্ররোচণা ও কুমন্ত্রণায় মানুষ বরাবরই ভুল করে এবং পাপ কাছে লিপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে তেমনি একটি ভয়ংকর পাপ, অশ্লীলতা ও আসক্তির নাম পর্নোগ্রাফি।

তাই এ বিষয়ে আমাদের সকলের জন্য সতর্কতা ও সচেতনতা মূলক আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি আমাদের নৈতিক দায়িত্বও বটে। তাই আসুন আজ ইসলামি শরিয়ত ও বিজ্ঞানের আলোকে অশ্লীলতা বা পর্নোগ্রাফি আসক্তি ও এর ভয়াবহতা এবং এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করা যাক, ইনশাআল্লাহ। 


অশ্লীলতা বা পর্নোগ্রাফি আসক্তি ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি:


দেখুন অশ্লীলতা সেই আদি কাল থেকেই চলে আসছে এটি ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই পবিত্র কুরআনুল কারিমে এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সতর্ক করেছেন। কিন্তু এই অশ্লীলতার আধুনিক রূপ পর্ণগ্রাফি আসক্তি যা একদমই নতুন, আজ থেকে দেড়শো বছর আগেও এর কোনো প্রভাব ছিল না, তাই এর সমাধানও বেশ জটিল। তবে অশ্লীলতা নিয়ে পবিত্র কুরআনুল কারিমে নাজিল হওয়া আয়াতগুলো আমাদের এই জঘন্য পাপ থেকে দূরে রাখার এবং পর্ণগ্রাফি আসক্তির সবচেয়ে সহজ সমাধান বলা যায়। আসুন এবার দেখি পবিত্র কুরআনে এ বিষয়ে কি বলা হয়েছে।


আল্লাহ তা'আলা অশ্লীলতা সম্পর্কে কুরআনে কারীমে বলেন-


'আপনি বলে দিন,আমার পালনকর্তা হারাম করেছেন সকল প্রকার অশ্লীল বিষয়সমূহ যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে...।' [আল-আ'রাফঃ ৩৩]


'যারা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার লাভ করুক,তাদের জন্যে দুনিয়া ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি; আর আল্লাহ জানেন,তোমরা জানো না।' [আন-নূর:১৯]


আল্লাহ আরো বলেন,'আর তোমরা যিনার (অবৈধ যৌনকর্মের) কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট পথ।' [বনি ইসরাইলঃ৩২]


'আর যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে' তা'আলা ব্যভিচার ও চতুষ্পর্শ্বের সমস্ত দুষ্কার্য হতে আমাদের চরমভাবে নিষেধ করেছেন। শরীয়তে ব্যভিচারকে কাবীরা বা কঠিন পাপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে...


প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটির পরবর্তী অংশ পড়তে এবং বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন প্লিজ।


লেখক: হাসান আল-আফাসি 

বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় আইন বিভাগে পড়াশোনা করছেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম